‘একটি বাড়ি একটি খামার’ কি ‘ক্ষুদ্রঋণে’র প্রতিদ্বন্দ্বী
আম গাছে আমড়া ধরেছে, বলা যায়- প্রমাণ করা যায় না। এটা ভালো ওটা খারাপ, বলা যায়- প্রমাণ হয়ে যায় না। কোনটা ভালো কোনটা খারাপ, প্রমাণ হয় সাফল্য বা কার্যকারিতা দিয়ে। উদ্যোগ ভালো, কিন্তু বাস্তবায়ন করা গেল না, তা যেকোনও কারণেই হোক। সেক্ষেত্রে ‘ভালো’র মর্যাদা পাবে কিনা? বা যার ভালো হওয়ার কথা তার যদি ভালো না হয়, তাহলে এটাকে ‘ভালো’ বলা যায় কিনা? ’১০ টাকা কেজি চাল’ একটি ভালো উদ্যোগ, শেষ পর্যন্ত কতটা ভালো থাকল? ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ এই ভালো উদ্যোগটির সাফল্যের অবস্থা বা সম্ভাবনা কতটা?
এটা কি ক্ষুদ্রঋণ ধারণার বিকল্প বা প্রতিদ্বন্দ্বী কিনা! বিষয়গুলো নিয়ে সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা।
১. ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করেছিল ১১৯৭ কোটি টাকা নিয়ে। তিনবার বৃদ্ধি করে এটা এখন ৮ হাজার ১০ কোটি টাকার প্রকল্প। এই প্রকল্প থেকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে গ্রামের দরিদ্র মানুষদের। লক্ষ্য দারিদ্র্য বিমোচন। উদ্যোগটি ভালো, কোনও সন্দেহ নেই। উদ্যোগটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি এই প্রকল্প সফল করে, দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়ন ঘটাতে চান।
গত প্রায় ৫ বছর ধরে এই প্রকল্প চলছে। প্রশাসন প্রকল্প পরিচালনা করছে। পরিচালনার প্রথম দিন থেকে অভিযোগ আসছে অন্যায়-অনিয়ম-দুর্নীতির। যে গরিব মানুষদের এই প্রকল্পের অর্থ সহায়তা পাওয়ার কথা, অধিকাংশ জায়গাতেই তারা তা পাননি। গণমাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরেই এই সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। ধারণাগতভাবে ‘মহৎ উদ্দেশ্য’র প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গিয়ে ‘মহৎ’ শব্দটি হারিয়ে ফেলেছে। এই যে ‘মহৎ’ শব্দটি হারিয়ে গেল, হারিয়ে কোথায় গেল, তা দেখার কোনও উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। অথচ প্রকল্পের মেয়াদ এবং অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হলো তৃতীয় দফা।
২. সরকারের ‘মহৎ উদ্যোগ’ থেকে ‘মহৎ’ শব্দটি সব সময় হারিয়ে যায় কেন? কারণ কয়েকটি-
খ. রাষ্ট্রীয় প্রশাসন চরমভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেক ‘সৎ’ ব্যক্তি আছেন, সামগ্রিকভাবে সততার অভাব ভয়াবহ রকমের।
গ. রাজনীতিবিদদের মধ্যেও কিছু ‘সৎ’ ব্যক্তি আছেন, সামগ্রিকভাবে সততা নেই। জনগণ বা গরিব মানুষের প্রতি প্রশাসনের যেমন দায়বদ্ধতা নেই, রাজনীতিবিদদেরও নেই।
ঘ. প্রশাসনের অন্যায় অনিয়ম দলীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব মনিটর করেন না। তারাও অন্যায়-অনিয়মে সম্পৃক্ত হয়ে যান। নিজে এবং দলীয় লোকজনদের সুবিধার জন্যে ব্যস্ত থাকেন। গরিব মানুষের প্রাপ্য নিজের বা নিজেদের জন্যে নিতে একটুও দ্বিধা করেন না। প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং রাজনীতিবিদরা, একাকার হয়ে ‘মহৎ’ শব্দটি উধাও করে দেন। ‘মহৎ’ যে হারিয়ে গেল, তা খোঁজার কোনও লোক সরকারি দলে বা সরকারি প্রশাসনে থাকে না। ‘সৎ’ সরকারি কর্মকর্তা বা রাজনীতিবিদ যারা থাকেন, তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ অসৎদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে দর্শকে পরিণত হন।
৩. একটি ‘মহৎ’ বা ভালো উদ্যোগ কি করে ব্যর্থতায় পরিণত হয়, সাম্প্রতিককালে তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ ‘১০ টাকা কেজি চাল’। ‘মহৎ’ উদ্যোগটি নিলেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করতে চাইলেন তৃণমূল পর্যায়ের দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্য দিয়ে। তৃণমূলের দলীয় নেতারা ডিলার হিসেবে মনোনীত হলেন। সরকারি গুদাম থেকে চাল তুলে নিয়ে গেলেন। কিন্তু বিতরণ ঠিকমতো করলেন না। কোথাও কোথাও দলীয় নেতা ডিলাররা অর্ধেক বা তিন ভাগের দুই ভাগ খোলাবাজারে বিক্রি করে দিলেন। কিছু বিতরণ করলেন, তাও গরিব মানুষদের মধ্যে নয়। তালিকা করার সময় ‘দারিদ্র্যতা’ প্রাধান্য পেল না, দলীয় পরিচয় প্রাধান্য পেল। তাতেও সমস্যা ছিল না, যদি ‘দলীয় দরিদ্ররা’ তালিকায় স্থান পেতেন। তালিকায় স্থান পেতে দেখা গেল আত্মীয়-স্বজন, দলীয় নেতা-কর্মী, যারা তুলনামূলকভাবে স্বচ্ছল।
১০ টাকা কেজি চালের মহৎ উদ্যোগ থেকে প্রধানমন্ত্রীর তো বটেই, আওয়ামী লীগ সরকারের সুনাম বৃদ্ধি পাওয়ার কথা ছিল। বাস্তবে হয়েছে উল্টোটা। জনমানুষ দেখেছে গরিবের প্রাপ্য গরিব পায়নি। বড়লোক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা গরিবের চাল নিয়ে নিয়েছে। ‘মহৎ’ উদ্যোগের নেট রেজাল্ট বিশাল ‘নেতিবাচক ইমেজ’।
৪. প্রশ্ন আসতেই পারে ‘১০ টাকা কেজি চালে’র প্রকল্প ঠিকমতো চালানো গেল না বলে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পও ঠিকমতো চলবে না, তা কি বলা যায়? বলা যায় তার কারণ, গত ৫ বছর ঠিকমতো চলেনি। অন্যায়-অনিয়মের অভিযোগ আলোচিত হয়েছে। তদন্ত করে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অতীতে বা এখন অন্যায়-অনিয়ম চলছে, সামনে চলবে না- তা যেহেতু বলা যায় না, সুতরাং প্রকল্প সফল না হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে মন্তব্য নিশ্চয়ই করা যায়।
রাষ্ট্রীয় প্রশাসন সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে কাজ করবে, তা আমরা আশা করতে পারি না। রাজনীতিবিদরাও সবাই সৎ হয়ে যাবেন, সেই আশা করাও ঠিক নয়। তবে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্যে পরীক্ষিত, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ রাজনৈতিক নেতা-কর্মী অপরিহার্য। যা আওয়ামী লীগসহ বাংলাদেশের কোনও রাজনৈতিক দলের নেই। ফলে কোনও সরকারের পক্ষে এ ধরনের প্রকল্প সফল করা বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় সম্ভব নয়।
সম্ভব যে নয়, তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠানগুলো। সরকার কোনোটাই ঠিকমতো চালাতে পারছে না। রাষ্ট্রায়ত্ব সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, জনতা, বেসিক ব্যাংকগুলোর অবস্থার অবনতি ঘটছে প্রতিদিন। বাংকগুলো থেকে গত ছয় সাত বছরে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা জালিয়াতি করে নিয়ে গেছে লুটেরারা।
এই লুটেরারা অপরিচিত না, কিন্তু ধরা হয়নি, ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঋণখেলাপিসহ অন্যায় অনিয়ম দুর্নীতিতে ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হওয়ার পথে। সরকার অর্থের জোগান দিয়ে, বন্ড ছেড়ে ব্যাংকগুলো কোনও রকমে টিকিয়ে রেখেছে। অথচ এই ব্যাংকগুলো এক সময় মুদ্রাবাজারে ঋণ দিত। আর এখন মুদ্রাবাজার বা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে টিকে থাকছে।
সরকার তার নিজের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক ঠিকমতো চালাতে পারে না, শেয়ারবাজার পরিচালনা করতে ব্যর্থ, ১০ টাকা কেজি চালের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারে না, কী করে একটি খামার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে? ব্যাংকগুলো ঠিকমতো পরিচালনা করতে পারলে, সহজ শর্তে মানুষকে ঋণ দিতে পারলে, এ ধরনের কোনও নতুন প্রকল্পের তো দরকারই হতো না। সামগ্রিক অবস্থার উন্নয়ন না ঘটিয়, একটি প্রকল্প বিচ্ছিন্নভাবে সফল করা সম্ভব নয়।
কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর জন্যেই তো কৃষি ব্যাংক তৈরি করা হয়েছিল। কৃষি ব্যাংকের কৃষি ঋণের সুদ ১০%। ক্ষুদ্র ঋণের সুদের হার ১৪ থেকে ১৬%। কৃষক বা দরিদ্র মানুষ কৃষি ব্যাংকে না এসে এনজিও থেকে ঋণ নেয় কেন? ‘কেন’র উত্তর সরকার জানে, কিন্তু স্বীকার করতে চায় না। নানা অনিয়ম দুর্নীতির পর একজন কৃষক কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে তার সুদের হার ২০% থেকে ২৫%, এ গিয়ে দাঁড়ায় (ঘুষসহ)। এই ঘুষ বা দুর্নীতি বন্ধ করার উদ্যোগ সরকার নিতে পারে না বা নেয় না। কৃষি ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার ১০০ ভাগ ঋণ বিতরণ করে। আদায় করতে পারে ১০ ভাগ। বিতরণ করলে ঘুষ আছে, আদায়ে নেই। ফলে তারা শুধু বিতরণ করে, আদায় করে না।
৫. সরকার তো অনেক কাজ করছে, রাস্তা-ফ্লাইওভার ব্রিজ, হচ্ছে। তাহলে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প সফল হবে না কেন? এক কিলোমিটার সড়ক ১৫ কোটি টাকার জায়গায় ৮০ কোটি টাকা খরচ করলে দুর্নীতি যেমন দৃশ্যমান হয়, রাস্তাও দৃশ্যমান হয়। ৩০০ কোটি টাকার ফ্লাইওভারে ৯০০ কোটি টাকার অনিয়ম হলেও ফ্লাইওভারটি নির্মাণ হয়। ৩০ কোটির পরিবর্তে ২০০ কোটি টাকা দিয়ে এক কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করলে, তা দিয়ে রেলগাড়ি চলতে পারে। ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের দুর্নীতি হলে, তা সফল হতে পারে না। রাস্তা-ব্রিজ বা ফ্লাইওভার দুর্নীতির মাধ্যমে নির্মাণ করা গেলেও, এ ধরনের প্রকল্প দুর্নীতির মাধ্যমে সফল করা সম্ভব নয়।
১২ হাজার কোটি টাকার কাজ ২৮ হাজার কোটি টাকায় করলে,তাকে সাফল্য বলা যায় না। দিল্লীর ৩০০ কোটি টাকার কাজ কেজরিয়াল সরকার যখন ১৭০ কোটি টাকায় শেষ করে, বাকি ১৩০ কোটি টাকা দিয়ে গরীব মানুষের চিকিৎসা- ওষুধের ব্যবস্থা করে, সেটাকে সাফল্য বলে।
জনগণের ট্যুাক্সের টাকা, জনগণের নামে বিদেশ থেকে আনার ঋণের টাকার অপচয় - দুর্নীতির কাজকে সাফল্য বলা যায় না।
৬. একটি প্রমাণিত সাফল্যজনক ধারণার নাম ‘ক্ষুদ্রঋণ’। ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে আলোচনা আছে, সমালোচনা আছে। তার চেয়ে বহু বহু গুণ বেশি আছে প্রশংসা।
বাংলাদেশে তো বটেই, সারা পৃথিবীতে। বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণ শুধু ড. ইউনূস বা গ্রামীণ ব্যাংকই পরিচালনা করে না। ব্র্যাংক, আশাসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। সরকার সর্বশক্তি নিয়োগ করেও ব্যক্তি ড. ইউনূসের কোনও অসততা প্রমাণ করতে পারেনি। পারেনি গ্রামীণ ব্যাংকের কোনও অনিয়ম বা দুর্নীতি বের করতে। ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে ‘গরিব আরও গরিব হয়’ সত্য নির্ভর বক্তব্য নয়। ক্ষুদ্রঋণ ধারণায় আপনি বিশ্বাসী না হতেই পারেন। আপনার বিকল্প উদ্যোগ অবশ্যই থাকতে পারে। আপনার উদ্যোগ যদি ক্ষুদ্রঋণের চেয়ে ভালো হয়, তবে মানুষ আপনার কাছেই যাবেন, ক্ষুদ্রঋণের কাছে নয়। সরকারের কৃষি ব্যাংকের চেয়ে গ্রামীণ ব্যাংক বা ব্র্যাক থেকে ঋণ নেওয়া সহজ ও লাভজনক বলেই মানুষ কৃষি ব্যাংকের কাছে যায় না।
‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প ক্ষুদ্রঋণের প্রতিদ্বন্দ্বি নয়। সরকার মনে করতেই পারে যে, এটা ক্ষুদ্র ঋণের বিকল্প। শুধু মনে করলে তো হবে না, কাজ করতে হবে। গ্রামীণ ব্যাংক বা ব্র্যাক তো মনে করে বসে নেই, ছিল না।
তারা কাজ করেছেন। গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে সম্পৃক্ত ৮০ লাখ পরিবার। সরকার বহু চেষ্টা করেছে, একটি পরিবারকে দিয়েও নোবেল বিজয়ী গ্রামীণ ব্যাংক বা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কথা বলাতে পারেননি। একজন পরিচালকও ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেননি, নানা প্রক্রিয়ার জুলুম এবং লোভ দেখানোর পরও।
গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ৮০ লাখ পরিবার যদি ক্ষতিগ্রস্তই হতো, আরও দরিদ্র হতো, তাহলে নিশ্চয়ই তারা ড. ইউনূস বা গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। বাস্তবে তেমন কিছু ঘটছে না।
৭. ফজলে হাসান আবেদ একদিন কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আমরা বেইলি ব্রিজ। সরকার বড় ব্রিজ বানালে, বেইলি ব্রিজের আর প্রয়োজন থাকবে না।’
কথা দিয়ে তো বড় ব্রিজ বানানো যায় না, কাজ দিয়ে বানাতে হয়। কাজের জন্যে দক্ষ এবং দায়বদ্ধ লোকবল দরকার। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন তো সম্ভব নয়, তবে দুর্নীতি হ্রাস করতেই হবে। দলীয় নেতা-কর্মী যদি দক্ষ না হন, লোভ লালসা এবং দুর্নীতিমুক্ত না হন, প্রশাসনে যদি দুর্নীতি কমানো না যায়, একটি বাড়ি একটি খামার বা ১০ টাকা কেজি চাল- কোনও উদ্যোগই সফল করা যাবে না। ‘বড় ব্রিজ’ তৈরি করতে না পারলে, বেইলি ব্রিজে’র গুরুত্ব কমবে না।
লেখক: সম্পাদক, সাপ্তাহিক
Source Link: https://goo.gl/ADA1kE
Source: Bangla Tribune
Updated Date: 8th March, 2017