xyz জাপান অটোমেকানিক সামাজিক ব্যবসা জয়েন্ট ভেঞ্চার থেকে গ্রামীণ ঋণীদের সন্তানদের ১ম ব্যাচের গ্র্যাজুয়েশন
ইউনূস সেন্টার প্রেস রিলিজ (২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ):
গত ২২ ডিসেম্বর ২০১৬ বৃহস্পতিবার জাপান অটোমেকানিক ট্রেনিং স্কুলের সর্ব প্রথম ব্যাচের ১০ জন ছাত্রের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলো। এরা সকলেই গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণীদের সন্তান। নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। জাপান অটোমেকানিক লিঃ -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব সুনিয়াকি হিরাও এবং মহাব্যবস্থাপক জনাব ডানকান পাওয়ারও উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
জানুয়ারী ২০১৫-তে ১০ জন ছাত্র নিয়ে জাপান অটোমেকানিক ট্রেনিং স্কুল তার যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এর ছাত্র সংখ্যা ৩২ জন এবং স্কুলটিকে আরো সম্প্রসারিত করে ছাত্র সংখ্যা ২০০-তে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন গ্র্যাজুয়েটদের ৩ জন এই স্কুলেই জুনিয়র শিক্ষক হিসেবে যোগদান করছে এবং অবশিষ্ট ৭ জন এরই মধ্যে র্যাংগ্স অটো ওয়ার্কশপে অটোমেকানিক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে।
জাপান অটোমেকানিক ট্রেনিং স্কুল জাপানের অলাভজনক ফাউন্ডেশন এস কে ড্রিম, গ্রামীণ শিক্ষা এবং র্যাংগ্স ওয়ার্কশপ লিঃ-এর একটি আন্তর্জাতিক জয়েন্ট ভেঞ্চার সামাজিক ব্যবসা। স্কুলটির লক্ষ্য বাংলাদেশী তরুণদের মোটর গাড়ী বিশেষ করে জাপানে প্রস্তুত গাড়ী রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতে প্রশিক্ষিত করা। অটোমেকানিক্স ও ইংরেজীতে হাতে-কলমে উঁচুমানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের বেকার তরুণদের পৃথিবীর যে কোন স্থানে কাজ করতে সুদক্ষ করে তোলা হয় এই স্কুলে। জাপান ও অষ্টেলিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ও স্থানীয় উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন প্রশিক্ষকরা এখানে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন।
এই স্কুলে ভর্তির জন্য প্রতি বছর গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণীদের সন্তানদের নিকট থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। বাছাইকৃত ছাত্রদের দু’বছরের প্রশিক্ষণে ট্রেনিং স্কুলে ভর্তি করা হয় এবং প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করতে গ্রামীণ শিক্ষা থেকে সুদমুক্ত শিক্ষা ঋণ প্রদান করা হয়। এই ঋণ থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের যাবতীয় খরচ যেমন প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম, ইউনিফর্ম, থাকা-খাওয়া ইত্যাদি নির্বাহ করা হয়। ছাত্ররা দীর্ঘমেয়াদী কিস্তির মাধ্যমে তাদের ঋণ পরিশোধ করে থাকে।
গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে সনদপ্রাপ্ত ছাত্রদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রফেসর ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ এখন থেকে তার গাড়ী রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পেশাদার লোক পাবে। আমি আশা করছি, বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা নিয়ে আজকের এই গ্র্যাজুয়েটরা এক দিন নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তায় পরিণত হবে এবং নিজেদের ওয়ার্কশপ খুলে অন্যদের জন্য চাকরি সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশের অন্য তরুণদের জন্য এই তরুণ গ্র্যাজুয়েটরা নতুন যুগের দুয়ার খুলে দেবে।”
Source: Yunus Centre
Updated Date: 8th March, 2017