মহারাষ্ট্র সরকার ইউনূসের পরামর্শ চাইলেন
প্রেস রিলিজ, মুম্বাই, ৬ সেপ্টেম্বর: মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষে তার অর্থ, পরিকল্পনা ও বনমন্ত্রী সুধীর মানগান্তিবার (বিজেপি) সরকারের পল্লী উননয়ন ও অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থায়ন কর্মসূচি প্রণয়নে সহায়তা করতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানান।
অর্থ ও পল্লী উনড়বয়ন প্রতিমন্ত্রী দীপক কেশরকারও এই সভায় উপস্থিত ছিলেন। চার ঘন্টাব্যাপী এই বিশদ আলোচনায় আরো অংশ নেন বিভিনড়ব মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ, উনড়বয়ন কর্মকান্ডে নিয়োজিত সরকারের বিভিনড়ব এজেন্সীর প্রধানরা, শিক্ষাবিদগণ, জাতীয় পল্লী অর্থায়ন প্রতিষ্ঠান -এর প্রতিনিধিবৃন্দ প্রমূখ।
অর্থমন্ত্রী আলোচনার জন্য কিছু প্রশড়ব উত্থাপন করেন। মন্ত্রীর পরবর্তী বাজেট বক্তৃতার অংশ হিসেবে ও বাজেটে সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে একটি কর্মকৌশল প্রতিবেদন প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এই প্রশড়বগুলো ক্সতরী করা হয়েছিল। তিনি বিশেষ করে সামাজিক ব্যবসা সম্পর্কে এবং গ্রাম ও শহরের বেকার যুব সমাজের বেকারত্ব দুর করার কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চান। তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা জানতে চান তাঁদের রাজ্যে ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তাদের জন্য গৃহীত ঋণ কর্মসূচিগুলো কেন ভালভাবে কাজ করছে না এবং বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংকের অভিজ্ঞতায় কী-করে এই কর্মসূচিগুলোকে ঊজ্জীবিত করা যায়।
মন্ত্রী মহোদয় জানতে চান প্রফেসর ইউনূসের কর্মসূচিগুলো কীভাবে প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং বাংলাদেশে এগুলোর সফলতার কারন কী। তাঁর রাজ্যে বাস্তবায়ন করা যায় এমন যথাযথ প্রকল্প এবং সেগুলোর সুনির্দিষ্ট ফলাফল সম্পর্কেও মন্ত্রী আগ্রহ দেখান, যাতে মহারষ্ট্রের বাজেট প্রμিয়ায় এগুলো অন্তর্ভূক্ত করা যায়।
তাঁর আগ্রহের বিষয় ছিল মূলতঃ তিনটি: গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচির মাধ্যমে অতি দরিদ্রদের অর্থায়ন প্রμিয়ার মধ্যে নিয়ে আসা, মহারাষ্ট্রে উদ্যোক্তা সৃষ্টি, এবং কর্মসংস্থান ক্সতরী করার লক্ষ্যে দেওলিয়া হয়ে যাওয়া অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোগগুলোর পূনরুজ্জীবন।
সামাজিক ব্যবসা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রফেসর ইউনূস বলেন যে, অর্থোপার্জন একটি সুখকর জিনিষ, তবে অন্যদের সুখী করা অতি-সুখকর। মন্ত্রী পরে বলেন যে, তিনি তাঁর রাজ্যের ১৭ লক্ষ স্বাবলম্বী গ্রæপকে “অতি-সুখী গ্রæপ”-এ পরিণত করতে চান।
সভা শেষে মন্ত্রী ঘোষণা করেন যে, তিনি দসারা ও দিওয়ালীর মধ্যবর্তী সময়ে (২৩ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বরের মধ্যে) তাঁর বিশেষজ্ঞবৃন্দ ও রাজ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে বাংলাদেশে একটি স্টাডি ভিজিটে যাবেন যাতে সেখানে অবস্থানকালে এ সম্পর্কে মৌলিক ধারণা অর্জন করতে পারেন।
বাস্তবায়ন কর্মকৌশল চূড়ান্ত করতে ও আলোচনা চালিয়ে যেতে তিনি মহারাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভারতে ইউনূস সামাজিক ব্যবসার কান্ট্রি ডিরেক্টর ও ঢাকায় ইউনূস সেন্টারের সমস্বয়ে একটি ত্রিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবও করেন।
মন্ত্রী সুধীর মানগান্তিবার তাঁর মন্ত্রীসভার পক্ষ থেকে প্রফেসর ইউনূসকে বেশ কিছু উপহার দেন এবং প্রফেসর ইউনূসের সাথে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ক্যাপশনঃ মহারাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী সুধীর মানগান্তিবার তাঁর রাজ্যের উনড়বয়ন কৌশল নিয়ে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে আলোচনাকালে প্রফেসর ইউনূসকে স্মারক-উপহার দিচ্ছেন। সর্ববামে মহারাষ্ট্রের রাজ্য তথ্য কমিশনার ড. টি. এফ. থেক্কেকারা। ডান থেকে বামে--সুধীর শ্রীবাস্তব, অতিরিক্ত মূখ্য সচিব (অর্থ), মহারাষ্ট্র এবং দীপক কেশরকার, প্রতিমন্ত্রী, অর্থ, পরিকল্পনা ও পল্লী উনড়বয়ন, মহারাষ্ট্র।
Source: Yunus Centre
Updated Date: 12th March, 2017