পূর্ব তিমুরে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির ২০ বছর উদযাপন
ইউনূস সেন্টার প্রেস রিলিজ ( ৮ অক্টোবর ২০১৬ ):
পূর্ব তিমুর সরকার আয়োজিত ১৯৯৬ সালে শান্তিত নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জোস রামোস হোর্তা এবং বিশপ কার্লোস জিমেনেস বেলোর নোবেল বিজয়ের ২০ বছর ফুর্তি উপলক্ষে ‘নাগরিকত্ব, শান্তি ও কল্যাণ’ বিষয়ে সম্মেলনে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
৭ অক্টোবর সকালে প্রেসিডেন্ট তুর মাতান রুয়াক সম্মেলনের উদ্ভোদন করেন।উদ্ভোদন অনুষ্ঠানে প্রফেসর ইউনূস সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আরো ৫ জন নোবেল বিজয়ী উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানের পরে প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ইউনূসের সাথে আলাপ করেন এবং তিমুরে আসার জন্য তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
প্রফেসর ইউনূস প্রধানমন্ত্রী ড রুই মারি দে আরুজু ও ফার্স্ট লেডি ইসাবেল দে কস্তা ফেরেইরার সাথে আলোচনা করেন। অন্যন্য বিশ্ব ব্যক্তিত্বদের সাথে ভারতের নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী, পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল জয়ী ব্রায়ান সেমিড, অর্থনীতিতে নোবেল জয়ী প্রফেসর ফিন আরলিং কিডল্যান্ড এবং চিকিৎসায় নোবেল বিজয়ী স্যার রিচার্ড জন রবার্ট সম্মেলনে যোগদান করেন।
পরের দিন ৭ ই অক্টোবর বিকেলে প্রফেসর ইউনূস কনফারেন্স এর একটি পুর্ণাংগ আলোচনায় অংশ নেন। তিনি অর্থনীতি ও ফিন্যান্স নিয়ে আয়োজিত একটি সেশনে সামাজিক ব্যবসা নিয়ে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন যেটি তিমুর লেস্তের জন্য কাজে লাগানো যেতে পারে।
উল্লেখ্য যে, ২০০৪ সালে মাইক্রোফিনান্সের উপর আয়জিত একটি জাতীয় সম্মেলনে বক্তৃতা করার জন্য তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জোসে রামোস হোর্তার আমন্ত্রনে প্রফেসর ইউনূস তিমুর লেস্তে এসেছিলেন।
তিমুর লেস্তের সবচেয়ে বড় ও সফল মাইক্রোফিন্যান্স প্রোগ্রামটি হলো মরিস রাসিক যেটি গ্রামীণের পদ্ধতি অনুসরণ করে পুরা দ্বীপে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং এটি বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাংকের বিশেষজ্ঞদের সহযোগীতায় গড়ে উঠেছিল। এটি বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, তিমুর লেস্তের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা জোসে রামোস হোর্তা তার নোবেল বিজয়ের প্রাইজ মানি তিমুরের ক্ষুদ্র ঋণের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন।
Source: Yunus Centre
Updated Date: 9th March, 2017