z x গ্রামীণ আমেরিকার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জনাব ভিডার জরগেনসেন ২৩ আগষ্ট ২

ইউনূস সেন্টার  প্রেস রিলিজ (২৩ আগষ্ট ২০১৬ ):

 

ভিডার জরগেনসেনের প্রতিবাদ

(গ্রামীণ আমেরিকার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট, গ্রামীণ রিসার্চ-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবসায়ী ও জনহিতৈশী ব্যক্তি জনাব ভিডার জরগেনসেন ২৩ আগষ্ট ২০১৬ তারিখে এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-তে প্রকাশিত নিবন্ধ ÒMany donors to Clinton Foundation met with Hilary Clinton at State” বিষয়ে নি¤œলিখিত প্রতিবাদ করেছেন। তাঁর সম্পর্কে আরো তথ্য Google-এ পাওয়া যাবে।)

জনাব ভিডার জরগেনসেনের বিবৃতি

এপি-র নিবন্ধে বলা হয়েছে যে, গ্রামীণ আমেরিকা এক লাখ থেকে আড়াই লাখ মার্কিন ডলার ফাউন্ডেশনকে (ক্লিনটন ফাউন্ডেশন) দিয়েছে এবং গ্রামীণ রিসার্চ পঁচিশ হাজার ও পঞ্চাশ হাজার ডলার এর মধ্যে কোন এক পরিমান উক্ত ফাউন্ডেশনকে দিয়েছে। নিবন্ধে তাদের বক্তব্য এভাবে উদ্ধৃত হয়েছে:

“গ্রামীণ আমেরিকা যা কিনা ব্যাংকটির অলাভজনক মার্কিন সংগঠন, যার চেয়ারপার্সন ইউনূস, এক লাখ থেকে আড়াই লাখ মার্কিন ডলার ফাউন্ডেশনকে দিয়েছে যা ব্যাংকের মুখপাত্র বেকি অ্যাশের মতে ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের মিটিংয়ে যোগদানের জন্য প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক চাঁদা বাবদ দেওয়া হয়েছে। গ্রামীণের আরেকটি সংগঠন গ্রামীণ রিসার্চ, যার চেয়ারপার্সন ইউনূস, পঁচিশ হাজার ও পঞ্চাশ হাজার ডলার এর মধ্যে কোন  একটি অংকের চাঁদা দিয়েছে।” (পরে এপি অবশ্য তাদেও বক্তব্য সংশোধন করেছে, http://goo.gl/08qC7n)

ক্লিনটন ফাউন্ডেশনকে প্রদত্ত গ্রামীণ আমেরিকা ও গ্রামীণ রিসার্চের সকল চাঁদা প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের বার্ষিক সভায় ব্যক্তিগতভাবে যোগদানের জন্য আমি আমার নিজস্ব তহবিল থেকে প্রদান করেছিলাম। ২০০৬ এবং ২০০৭ সালে প্রতি বছর চাঁদার পরিমান ছিল পনের হাজার ডলার করে। এর পরের বছর থেকে শুরু করে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর জন প্রতি বিশ  হাজার ডলার করে চাঁদা দিতে হয়েছে। প্রতি বছর এই চাঁদা আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পরিাশোধ করেছি গ্রামীন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। ২০১৪ সাল এর পর থেকে যেহেতু আমি গ্রামীণ আমেরিকাতে কর্মরত ছিলাম না এবং ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভে আর আমার উপস্থিতি প্রয়োজনীয় বলে মনে করিনি বলে আমি আর কোন অর্থ দেইনি। মাঝখানে একবার ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে শিকাগো শহরে  এক মিটিং এর জন্য আমি দেড় হাজার ডলার চাঁদা দিয়েছি। ২০০৬ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নয় বছরে আমি মোট এক লক্ষ একাত্তর হাজার পাঁচশত ডলার চাঁদা দিয়েছি। এপি রির্পোটে এ ধরনের অংকের কথাই বলা হয়েছে। আমি গ্রামীণ আমেরিকা ও গ্রামীণ রিসার্চের সাথে জড়িত থাকাকালীন এই অর্থগুলো ছাড়া ক্লিনটন ফাউন্ডেশনকে আর কোন অর্থ প্রদান করা হয়নি। গ্রামীণ আমেরিকা কেবলমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে কাজ করেছে এবং গ্রামীণ রিসার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অনেকগুলো দেশে ক্ষুদ্রঋণ ও স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে কাজ করেছে। ঐ বছরগুলোতে আমার কাজের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গ্রামীণ আমেরিকা বা গ্রামীণ রিসার্চের মাধ্যমে এসকল অর্থ আমি আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রদান করেছিলাম।

এছাড়া, সদস্যপদ ও মিটিং ফি-র অর্থের পরিমাণ এবং সংশ্লিষ্ট কর পরিশোধ সংক্রান্ত তথ্য সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত যা ইন্টারনেটে https://www.clintonfoundation.org/clinton-global-initiative/membership/frequently-asked-questionsও অন্যান্য জন-উন্মুক্ত সুত্র থেকে পাওয়া যাবে। এসব চাঁদা এবং তহবিলের পরিমাণ মোটামুটিভাবে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (অর্থাৎ ডাভোস), টিইডি ও অনুরূপ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সভাগুলোয় অংশগ্রহণ ফি-র সাথে তুলনীয় যেখানে সদস্যপদ অংশগ্রহণ ফি-র মধ্যে অন্তর্ভূক্ত থাকে।

এই মিটিংগুলো আমার অলাভজনক গ্রামীণ  প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনায় খুবই সহায়ক ছিল। একই পরিস্থিতিতে এই মিটিংগুলোতে আমি এখনো অংশ নিতে প্রস্তুত, কেননা বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম ও টি.ই.ডি -র মিটিংগুলোর মতো ঐ মিটিংগুলোতে আমি অনেক গুরুত্বপূর্ণ পার্টনার ও দাতার সাক্ষাৎ লাভ করেছিলাম। আমি কোন গ্রামীণ প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যক্তিগতভাবে কোনরূপ বেতন বা পারিশ্রমিক বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করিনি এবং এসকল সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমার ফি-গুলোও আমি আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রদান করেছিলাম।

ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের মিটিংগুলোতে প্রফেসর ইউনূস সবসময়ই অতিথি বক্তা ছিলেন এবং তাঁকে কোন অংশগ্রহণ ফি দিতে হয়নি। এসব মিটিংগুলোতে অংশগ্রহণের জন্য আমি বা কোন গ্রামীণ প্রতিষ্ঠান তাঁর পক্ষে কখনোই কোন অর্থ প্রদান করেনি, করার কোনো প্রয়োজন ছিলো না।

যখন থেকে আমার আর অংশগ্রহণের প্রয়োজন হয়নি তখন থেকে আমি আর কোন অর্থ দিইনি প্রফেসর ইউনূস শুরু থেকেই প্রতি বছর আমন্ত্রিত অতিথি বক্তা হিসেবে যোগদান করে আসছেন।

এ বিষয়ে আরো কোনো তথ্য জানার জন্য মিডিয়ার যে কেউ আমার ই-মেইল ঠিকানা vidar@grameenresearch.org-এ যোগাযোগ করতে পারেন।

Source Link:

Source: Yunus Centre

Updated Date: 9th March, 2017

Related Publications