প্রফেসর ইউনূস মার্কিন তরুণদের উদ্যোক্তা হতে আহ্বান জানালেন
ইউনূস সেন্টার প্রেস রিলিজ ( ১১ জুন ২০১৬):
সান ডিয়েগো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
নোবেল শান্তি পুরষ্কার জয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান ডিয়েগোর আমেরিকান গ্র্যাজুয়েটদের চাকরির পরিবর্তে বরং নিজেদের অন্তর্নিহিত সৃষ্টিশীল শক্তিকে কাজে লাগাতে উৎসাহিত করলেন। গত ১১ জুন ২০১৬ শনিবার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান ডিয়েগোর সকল ক্যাম্পাসের এই সম্মিলিত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মূল সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তৃতা প্রদানকালে তিনি তাদের এই আহ্বান জানান। দশ সহ¯্রাধিক গ্র্যাজুয়েটের এই সমাবেশে তিনি চাকরীর পেছনে ছোটাকে একটি কৃত্রিম অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উপর দাঁড়িয়ে থাকা “নিয়োগের স্বৈরাচার” (ঞুৎধহহু ড়ভ ঊসঢ়ষড়ুসবহঃ) বলে আখ্যায়িত করেন যা মানুষের সৃষ্টিশীলতাকে হত্যা করে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান ডিয়েগো ১৬ বছরে প্রথম তার সকল ক্যাম্পাসের সম্মিলিত সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজন করলো। দশ হাজারের বেশী ছাত্র-ছাত্রী সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাদের সনদপত্র গ্রহণ করেছে। সর্ব-বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানের পর কলেজগুলো তাদের অনুষ্ঠান আলাদাভাবে উদ্যাপন করে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রদীপ খোসলা বলেন, “আমরা নিশ্চিত যে, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান ডিয়েগোর ২০১৬ সালের গ্র্যাজুয়েটরা পৃথিবীতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখবে।” তিনি আরো বলেন, “আমাদের বর্তমান ও প্রাক্তন সকল ছাত্র সাহসী ও উদ্ভাবনশীল। তারা আমাদের প্রধান সমাবর্তন বক্তা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের মতো যে-কোন প্রত্যাশাকে চ্যালেঞ্জ করতে ও দিগন্তকে প্রসারিত করতে সক্ষম।”
প্রফেসর ইউনূস নবীন গ্র্যাজুয়েটদেরকে নিজেদের দেখাশোনার চেয়েও বেশী কিছু করতে অনুপ্রাণিত করেন। তিনি বলেন, “তোমাদের সামনে একটি বিশাল পৃথিবী অপেক্ষা করছে। তোমাদের প্রত্যেকের ভেতরে অপরিসীম ক্ষমতা রয়েছে। তোমরা যদি শুধু নিজেদের জন্যও এই ক্ষমতা ব্যবহার করো, তোমরা এর সামান্যই কাজে লাগাতে পারবে। তাই নিজেদের দেখাশোনার পাশাপাশি তোমরা গোটা পৃথিবীর দায়িত্বও নাওনা কেন?” তিনি আরো বলেন, তরুণরা বরাবরই অর্থপূর্ণ কিছু করতে চায়, কিন্তু সে সুযোগ তারা সব সময় পায় না।
সমাবর্তন বক্তৃতা প্রদানের পূর্বে প্রফেসর ইউনূসকে আনুষ্ঠানিকভাবে “উপাচার্য পদক” প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রদীপ খোসলা। ১৯৬০ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত ১১ জন ব্যক্তিকে এই পদক প্রদান করা হয়েছে।
ছবির ক্যাপশন-১: ১১ জুন ২০১৬ উপাচার্য প্রদীপ খোসলার নেতৃত্বে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান ডিয়েগোর সমাবর্তন শোভাযাত্রায় নোবেল শান্তি পুরষ্কার জয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
ছবির ক্যাপশন-২: ১১ জুন ২০১৬ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান ডিয়েগোর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে নোবেল শান্তি পুরষ্কার জয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে “উপাচার্য পদক” প্রদান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রদীপ খোসলা।
ছবির ক্যাপশন-৩: ১১ জুন ২০১৬ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান ডিয়েগোর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মূল সমাবর্তন বক্তৃতা প্রদান করছেন নোবেল শান্তি পুরষ্কার জয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। ১৬ বছরে প্রথমবারের মতো ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান ডিয়েগোর সকল ক্যাম্পাসের সম্মিলিত এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ১০ হাজারের বেশী ছাত্র-ছাত্রী তাদের সনদপত্র গ্রহণ করে।
ছবির ক্যাপশন-৪: ১১ জুন ২০১৬ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান ডিয়েগোর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মূল সমাবর্তন বক্তৃতা প্রদান করছেন নোবেল শান্তি পুরষ্কার জয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। ১৬ বছরে প্রথমবারের মতো ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান ডিয়েগোর সকল ক্যাম্পাসের সম্মিলিত এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ১০ হাজারের বেশী ছাত্র-ছাত্রী তাদের সনদপত্র গ্রহণ করে।
Source: Yunus Centre
Updated Date: 9th March, 2017