ইউনূস বোষ্টন কনসাল্টিং গ্রæপের সাথে সমঝোতা স্মারক সই করলেন

ইউনূস সেন্টার প্রেস রিলিজ (২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫):

একটি গেøাবাল পার্টনারশীপ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নোবেল শান্তি পুরষ্কার জয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও বোষ্টন কনসাল্টিং গ্রæপের গেøাবাল হেড অব সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট ওয়েন্ডি উড্স এর মধ্যে সম্প্রতি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। জাতিসংঘে বিভিন্ন সভার পাশাপাশি গত ২৬ সেপ্টেম্বর এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বোষ্টন কনসাল্টিং গ্রæপ (বিসিজি) ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিংয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। ২০১৫ সালে “ফরচুন” সাময়িকীর বিচারে “কাজ করার জন্য সর্বোত্তম এমন ১০০টি কোম্পানী”র মধ্যে বিসিজি ২য় স্থান অধিকার করেছে। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর উপলক্ষে বিসিজি-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “মুহাম্মদ ইউনূস ও ইউনূস সামাজিক ব্যবসা বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সমাধানে ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গী প্রয়োগ করে সফলতা লাভ করেছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি কার্যকর ও উদ্ভাবনশীল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে।” বিসিজি ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান পৃথিবীর ৪৬টি দেশে যার ৮২টি শাখা রয়েছে। এই সমঝোতা স্মারকের মধ্য দিয়ে প্রফেসর ইউনূস ও তাঁর প্রতিষ্ঠান ইউনূস সামাজিক ব্যবসা বোষ্টন কনসাল্টিং গ্রæপে একটি বিশেষ মর্যাদা পেলেন। ইউনূস সামাজিক ব্যবসা বিসিজি’র ৬ষ্ঠ গেøাবাল পার্টনারে পরিণত হলো এবং বিশ্বব্যাপী ইউনূস সামাজিক ব্যবসার কর্মকান্ড সম্প্রসারিত করতে বিসিজি’র যাবতীয় সহযোগিতা লাভের সুবিধা পেল।

একই দিন প্রাক্তন মার্কিণ প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন হল্ট পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রফেসর ইউনূসকে স্বাগত জানান। প্রফেসর ইউনূস ম্যানহাটনে অবস্থিত ক্লিনটন গেøাবাল ইনিশিয়েটিভ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল্ট পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য প্রদান করেন। প্রায় ১,০০০ অতিথিকে উদ্দেশ্য করে প্রদত্ত তাঁর বক্তব্যে প্রফেসর ইউনূস হল্ট পূরষ্কারের জন্য মনোনীত সেরা ৬ প্রতিযোগীকে অভিনন্দন জানান এবং সামাজিক ব্যবসা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে ৩টি বিষয়ে ‘শুন্য’ অর্জনের উপর গুরুত্ব দেন: ১) শুন্য দারিদ্র, ২) শুন্য বেকারত্ব ও ৩) শুন্য কার্বন নির্গমন, এবং বলেন যে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে বিশ্বকে অবশ্যই এই ৩টি ‘শুন্য’র নীতি গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরো বলেন যে, এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে ৪টি জিনিষের দরকার: ক) তরুণদের শক্তি ও উদ্ভাবনশীলতা, খ) প্রযুক্তির ক্ষমতা, গ) সামাজিক ব্যবসা, ও ঘ) সুশাসন। হল্ট পূরষ্কার একটি বাৎসরিক প্রতিযোগিতা যেখানে ছাত্রদের দ্বারা পরিচালিত সামাজিক উদ্যোগ কোম্পানীগুলো পৃথিবী ব্যাপী সবচেয়ে জরুরী মানবিক সমস্যাগুলোর সমাধান প্রস্তাব করে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন কর্তৃক এ বছরের পুরষ্কারের জন্য বাছাই করে দেয়া চ্যালেঞ্জটি ছিল শহুরে বস্তিতে মানসম্মত শৈশবের শিক্ষার অভাবের সমস্যার সমাধান করা। এক মিলিয়ন মার্কিণ ডলারের এ বছরের হল্ট পূরষ্কারের জন্য বাছাই করা হয়েছে ওগচঅঈঞ.পড়স নামের টাইপেইয়ের ন্যাশনাল চেংচি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দলকে যাদের চষধুঈধৎবং কনসেপ্ট বস্তি শিশুদের যতœ ও শিক্ষা প্রণালীতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।

অধ্যাপক ইউনূস হল্ট পূরষ্কারের প্রার্থী চূড়ান্ত করার জন্য গঠিত ৪ সদস্যর বিচারকমন্ডলীর একজন। অধ্যাপক ইউনূস ছাড়াও বিচারকমন্ডলীতে ছিলেন অষ্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড, আফ্রিকার বিলিওনিয়ার-জনহিতৈষী মো ইব্রাহীম এবং একটি বৈশ্বিক কোম্পানীর প্রাক্তন নির্বাহী প্রধান চার্লস কেইনের মতো খ্যাতনামা উদ্যোক্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন ও অতিথিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন।

নিউ ইয়র্কে আগমনের পূর্বে প্রফেসর ইউনূস শিকাগোতে অবস্থিত ইলিনয় ইনষ্টিটিউট অব টেকনোলজিতে “ওয়াসান লেকচার” প্রদান করেন এবং শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের বুথ স্কুল অব বিজনেস এর শিক্ষক ও ছাত্রদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন।

 

ছবি-১: ডান থেকে বামে - নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস, বোষ্টন কনসাল্টিং গ্রæপের গেøাবাল হেড অব সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট ওয়েন্ডি উড্স ও ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাসকিয়া ব্রæইষ্টেন গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে নিউ ইয়র্কে ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস ও বোষ্টন কনসাল্টিং গ্রæপের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর ক্যমেরার সামনে দাঁড়ান। এই সহযোগিতা চুক্তির ফলে ইউনূস সামাজিক ব্যবসা বিসিজি’র ৬ষ্ঠ গেøাবাল পার্টনারে পরিণত হলো এবং বিশ্বব্যাপী ইউনূস সামাজিক ব্যবসার কর্মকান্ড সম্প্রসারিত করতে বিসিজি’র যাবতীয় সহযোগিতা লাভের সুবিধা পেল।

ছবি-২: প্রাক্তন মার্কিণ প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে হল্ট পুরষ্কার প্রদান  অনুষ্ঠানে নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাগত জানান। ম্যানহাটনে অবস্থিত ক্লিনটন গেøাবাল ইনিশিয়েটিভ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল্ট পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রফেসর ইউনূস মূল বক্তব্য প্রদান করেন।

 

 

Source Link:

Source: Yunus Centre

Updated Date: 9th March, 2017

Related Publications