ইউনূস ব্যাঙালোরে গ্রামীণ ব্যাংকের মডেলে গঠিত গ্রামীণ কুটার নতুন কর্পোরেট সদর দপ্তর উদ্বোধন
ইউনূস সেন্টার প্রেস রিলিজ (৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫):
নোবেল শান্তি পুরষ্কার জয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ ব্যাঙালোরে “গ্রামীণ কুটা”র নতুন কর্পোরেট সদর দপ্তর উদ্বোধন করেন। গ্রামীণ কুটা ভারতের সবচেয়ে বড় ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি যা ৫টি রাজ্যে ১০ লক্ষেরও বেশী নারী সদস্যকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। অধ্যাপক ইউনূসের প্রেরণায় গ্রামীণ কুটা ১৯৯৮ সালে গ্রামীণ ট্রাষ্টের নিকট থেকে প্রারম্ভিক তহবিল ও প্রশিক্ষণ নিয়ে তার কার্যক্রম শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটি তার পরবর্তী পর্যায়ে তার কার্যক্রম ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণের ও সুবিধাভোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। গ্রামীণ কুটা তার ১৮ বছরের ইতিহাসে একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে এবং অধ্যাপক ইউনূসের সামাজিক দর্শণ ও দরিদ্র-কেন্দ্রিক কর্মপন্থা বাস্তবায়নের জন্য বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস ব্যাঙালোরে প্রতিষ্ঠানটির নতুন বহুতল-বিশিষ্ট সদর দপ্তরে পৌঁছালে গ্রামীণ কুটার প্রতিষ্ঠাতা বিনাথা এম. রেড্ডি, পরিচালনা পরিষদ সদস্য সুরেশ কৃষ্ণ, প্রধান নির্বাহী উদয় কুমার এবং প্রতিষ্ঠানটির কয়েকশত কর্মী তাঁকে সাদর অভ্যর্থনা জানান । অধ্যাপক ইউনূসের আগমনের অব্যবহিত পূর্বেই গ্রামীণ কুটার সদর দপ্তর এই নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয়। অধ্যাপক ইউনূস নতুন ও বৃহৎ এই অফিসে গ্রামীণ কুটার নবনিযুক্ত কর্মীদের এক বৃহৎ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
একই দিন সকালে অধ্যাপক ইউনূস মাইশোরে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ইনফোসিস গেøাবাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের আমন্ত্রণে তাদের কার্যালয় পরিদর্শনে যান। ইনফোসিস ৭ জন উদ্যোক্তা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত যাঁরা ১৯৮১ সালে গ্র্যাজুয়েশন সমাপ্তির পর পরই প্রতিষ্ঠানটি গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ড. কে. দীনেশ তাঁদের সৃষ্ট মাইশোরের এই অসাধারণ গেøাবাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টারটি পরিদর্শনের জন্য অধ্যাপক ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
ইনফোসিস পরিচালকরা অধ্যাপক ইউনূসকে ৩১৭ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত এই অনন্য-সাধারণ দৃষ্টিনন্দন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ঘুরিয়ে দেখান যেখানে ১৫ হাজার প্রশিক্ষণার্থী একসঙ্গে প্রশিক্ষণ নিতে পারে। ১৫ হাজার প্রশিক্ষণার্থীর একেকটি নতুন ব্যাচ ৬ মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। বিনোদন ও খেলাধুলার সুবিধাসহ প্রশিক্ষণার্থীদের পূর্র্ণ আবাসিক সুবিধা দেয়া হয়। এই কমপ্লেক্সটিতে ভারতের অন্যতম বৃহৎ লন্ড্রি সুবিধা রয়েছে, যা অন্যান্য সুবিধার সঙ্গে প্রতিদিন ১০ হাজার বিছানা-চাদর পরিষ্কার করতে পারে। মাইশোর কেন্দ্রটি ভারতের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ১৩টি গেøাবাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের মধ্যে সর্ববৃহৎ, যা ভারতের তথ্য প্রযুক্তিগত সামর্থ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে যুব সমাজকে প্রশিক্ষিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে ৩০০ ছাত্রের ৩টি ব্যাচ তাদের আইটি প্রশিক্ষকসহ এই মাইশোর কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। ভারতের জন্য একটি নতুন বিশ্ব অর্থনীতি তৈরীতে ইনফোসিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং ব্যাঙালোরকে একটি সার্বক্ষণিক গেøাবাল সিটিতে পরিণত করেছে। ইনফোসিসের প্রশাসকরা অধ্যাপক ইউনূসের নিকট তাঁদের প্রশিক্ষণ কৌশল ও ভবিষ্যত মহাপরিকল্পনা ব্যাখ্যা করেন।
ইনফোসিস গেøাবাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের মাইশোর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মূল ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে নোবেল লরিয়েট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। অধ্যাপক ইউনূস ইনফোসিসের আমন্ত্রণে কেন্দ্রটি পরিদর্শনে যান।
Source: Yunus Centre
Updated Date: 9th March, 2017