৪৫৯তম সামাজিক ব্যবসা ডিজাইন ল্যাব অনুষ্ঠিত: গ্রামীণ পসরার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু

ইউনূস সেন্টার প্রেস রিলিজ(১২ জানুয়ারী ২০১৭):

 

ইউনূস সেন্টার আয়োজিত ৪৫৯তম সামাজিক ব্যবসা ডিজাইন ল্যাব ১২ জানুয়ারী ২০১৭ গ্রামীণ ব্যাংকঅডিটোরিয়াম কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অষ্ট্রিয়া, ইতালী ও জার্মানীসহ বিভিন্ন দেশীয় ওআন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১৫০ জন অংশগ্রহণকারী এই ল্যাবে যোগ দেন। নোবেল লরিয়েটপ্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ডিজাইন ল্যাবে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অংশগ্রহণকারী হিসেবে উপস্থিতছিলেন গ্রামীণ ফাউন্ডেশন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী জনাব স্টীভ হলিংওয়ার্থ।

 

আজকের ডিজাইন ল্যাবে ৬টি নতুন “নবীন উদ্যোক্তা” ব্যবসা পরিকল্পনা উপস্থাপিত হয়। উপস্থাপিতব্যবসাগুলোর উদ্যোক্তাদের সকলেই গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা পরিবারের সন্তান।

 

 

মোঃ জনি মিয়া তাঁর “আরিফ হাসান পাখি খামার” প্রকল্পটি মূলধনী বিনিয়োগের জন্য উপস্থাপন করেন।কোন প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ না থাকলেও জনি মিয়া বাজারিগার টিয়ে পালনে বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠেন। দুর-দুরান্ত থেকে থেকে মানুষ পাখি কিনতে তাঁর কাছে আসে। পাখির প্রতি তাঁর আবেগ ও ভালবাসা হয়েউঠেছে তাঁর পেশা এবং সামাজিক ব্যবসা তহবিল থেকে মূলধন নিয়ে তিনি তাঁর ব্যবসা আরো এগিয়েনিতে চান। মিস সুলতানা বেগম তাঁর “মুশফিক সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র” প্রকল্পটি ডিজাইন ল্যাবেউপস্থাপন করেন। তিন সন্তানের জননী সুলতানা বেগম তাঁর স্বজনদের জন্য কাপড় সেলাই করতেন।পরবর্তীতে তিনি তাঁর ১০ বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজেই উদ্যোক্তা হবার সিদ্ধান্ত নেন। তিনিএখন অন্যদের দর্জির কাজ শেখান। তিনি মূলধনী বিনিয়োগের দ্বারা  তাঁর প্রকল্পটি বড় করতে চান।অপর এক তিন সন্তানের জননী মোসাম্মৎ কোহিনুর বেগম তাঁর “তিন বোন গার্মেন্টস” প্রকল্পটি ল্যাবেউপস্থাপন করেন। তিনিও গ্রামীণের সামাজিক ব্যবসা তহবিল থেকে মূলধন নিয়ে তাঁর রেডিমেডগার্মেন্টসের দোকানটি সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা করছেন।

 

 

মোছাম্মৎ রানী বেগম উপস্থাপন করেন তাঁর “নিউ ইমন টেইলার্স।” রানী বেগমের পিতা গ্রামীণ ব্যাংকেরএকজন ঋণী। একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি তাঁর দর্জি দোকানটি বড় করতে চান। মিস সানজিদাআক্তার তাঁর “সানজিদা হস্ত শিল্প” প্রকল্পটি তুলে ধরেন। উচ্চকাংখী তরুণী সানজিদা অর্থনীতিতেগ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করার পাশাপাশি একজন সফল উদ্যোক্তা হবারও স্বপ্ন দেখছেন। তিনি হাতে তৈরীকারুকাজ শোভিত শো-পিস তৈরীতে দক্ষ এবং তাঁর ব্যবসাটি বড় করতে চান। মোছাম্মৎ রতœা বেগমতাঁর “রুম্পা পোলট্রি ফার্ম” প্রকল্পটি উপস্থাপন করেন। তিনিও মূলধনী বিনিয়োগ দ্বারা তাঁর পোলট্রিব্যবসাটি বড় করতে চাইছেন।

 

নবীন উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনাগুলো বিশদ উপস্থাপনা করা হয় এবং এগুলো নিয়ে বিস্তারিতআলোচনা হয়। এরপর প্রকল্পগুলো অধিকতর পর্যালোচনার জন্য দলীয় পর্যায়ে উপস্থাপনা করা হয়।উপস্থাপিত প্রতিটি প্রকল্পই স্ব-স্ব দল কর্তৃক অর্থায়নের জন্য অনুমোদিত হয়। গ্রামীণের সামাজিক ব্যবসাতহবিলের সাথে যৌথ-মূলধনী ব্যবসা হিসেবে পরিচালিত এই সামাজিক ব্যবসা প্রকল্পগুলোwww.sociabusinesspedia.com –এ মনিটর করা হবে।

 

 

জানুয়ারী ২০১৩-এ ডিজাইন ল্যাব শুরু হবার ৪৫৮তম ল্যাব পর্যন্ত প্রায় ১২,০০০ প্রকল্প মূলধনীবিনিয়োগের জন্য অনুমোদিত হয়েছে। এসকল নবীন উদ্যোক্তা প্রকল্পে অনুমোদিত ইক্যুইটি ফান্ডেরপরিমাণ প্রকল্প প্রতি ১.০ থেকে ৫.০ লক্ষ টাকা।

 

আজকের ডিজাইন ল্যাবে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আনুষ্ঠানিকভাবে “গ্রামীণ পসরা”র অনলাইনপ্ল্যাটফর্ম উদ্বোধন করেন। গ্রামীণ পসরা গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের একটি সামাজিক ব্যবসা প্রকল্প যাসামাজিক ব্যবসা তহবিল থেকে অর্থায়নকৃত বিভিন্ন নবীন উদ্যোক্তা প্রকল্পের হস্তশিল্প পণ্য বিক্রি করেথাকে। তিনি উদ্যোগটির প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, নবীন উদ্যোক্তারা তাদের পণ্যেরজন্য ই-কমার্সের সুবিধা নিতে পারবে।

 

প্রফেসর ইউনূস ডিজাইন ল্যাবে যোগদানের জন্য অংশগ্রহণকারীদেরকে ধন্যবাদ জানান এবং ১৪ফেব্রুয়ারী  ২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী সামাজিক ব্যবসা ডিজাইন ল্যাবে যোগদান করতে তাঁদেরআমন্ত্রণ জানান।

Source Link:

Source: Yunus Centre

Updated Date: 9th March, 2017

Related Publications