ইউনুস সেন্টারের মাধ্যমে খাজানাহ্ বৃত্তি পেল ৬ বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রী

19th April, 2017

ইউনুস সেন্টারের মাধ্যমে খাজানাহ্ বৃত্তি পেল ৬ বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রী

প্রেস রিলিজ


ইউনূস সেন্টারের সহায়তায় খাজানাহ্ ফাউন্ডেশন বৃত্তি কর্মসূচির অধীনে বিভিন্ন বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে ¯œvতক ও ¯œvতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নের জন্য এ বছর বৃত্তি লাভ করেছে ছয় বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রী। এদের মধ্যে পাঁচ জন মালয়েশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং একজন বৈশ্বিক বৃত্তি নিয়ে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অথবা বার্কলের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ায় অধ্যয়নের জন্য মনোনীত হয়েছে।


খাজানাহ্ বৃত্তি কর্মসূচির জন্য এ বছরের ২৩ থেকে ২৬ জানুয়ারীর মধ্যে গ্রামীণ ব্যাংকে এই বাছাই প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয় । কয়েকটি কঠোর বাছাই পর্বের মধ্য দিয়ে ১৮ জনকে চূড়ান্ত বাছাই পর্বে অংশগ্রহণের জন্য বাছাই  করা হয়। এদের মধ্যে ৬ জন চূড়ান্তভাবে এই আকর্ষণীয় বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়।


মালয়েশিয়ার ইয়াইয়াসান খাজানাহ্ ফাউন্ডেশন প্রতি বছর খাজানা ন্যাশনাল এর পার্টনার ও বিভিন্ন বিনিয়োগকারী কোম্পানীর সহযোগিতায় মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশের বিভিন্ন নির্বাচিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ¯œvতক ও ¯œvতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নের জন্য বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও প্যালেস্টাইন থেকে উপযুক্ত ছাত্র বাছাই করে থাকে। নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ২০০৮ সালে বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের এই বৃত্তির সুযোগ দেবার জন্য খাজানাহ্-র প্রধান নির্বাহীর কাছে প্রস্তাব করেন। তিনি এই প্রস্তাবে সম্মত হবার পর খাজানাহ্ ইউনূস সেন্টারের সহযোগিতায় বাংলাদেশে এই বৃত্তি প্রদান করে আসছে।


ছাত্র বাছাইয়ের উদ্দেশ্যে ইউনূস সেন্টার বাংলাদেশের সেরা সব বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে। এছাড়াও ইউনূস সেন্টার ছাত্র বাছাইয়ের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণ শিক্ষা থেকে মনোনয়ন আহ্বান করে। গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যদের সন্তানরা মালয়েশিয়ার বিভিন্ন খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে ¯œvতক পর্যায়ের বৃত্তির এবং যে কেউ ¯œvতকোত্তর পর্যায়ের বৃত্তির সুযোগ পেয়ে থাকে।


নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস খাজানাহ্ ফাউন্ডেশনে “খাজানাহ্ গ্লোবাল লেকচার” প্রদানের পর ২০০৭ সালে “খাজানাহ এশিয়া বৃত্তি কর্মসূচি” চালু হয়। খাজানাহ্্ বৃত্তি চালু হবার পর ২০০৯ সাল থেকে গ্রামীণ ব্যাংক পরিবারের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সন্তান এই বৃত্তি পেয়েছে। গত বছর এই বৃত্তির জন্য বাংলাদেশ থেকে চূড়ান্তভাবে ছয় জন ছাত্র বাছাই করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইউনূস সেন্টারের সহযোগিতায় ৪০ জন বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রী এই বৃত্তি পেয়েছে।


ছবির ক্যাপশন: ১৭ এপ্রিল ২০১৭ ইউনূস সেন্টারে নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে খাজানাহ্ বৃত্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী ছাত্রদের দেখা যাচ্ছে।

Related Contents