111 ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসে প্রফেসর ইউনূসের ভাষণ ঃ সমাজের সমস্যা সমাধানে বিজ্ঞানীদের প্রতি বিশ
ইউনূস সেন্টার প্রেস রিলিজ(৪ জানুয়ারী ২০১৭):
১০৪তম ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের একটি প্লেনারী সেশনে ৪ জানুয়ারী ২০১৭ ভাষণ দিলেন নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। কংগ্রেসের অনুষ্ঠানস্থল ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের তিরুপতিতে অবস্থিত শ্রী ভেংকটেশ্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শক-পূর্ণ বিশাল অডিটোরিয়ামে ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত বিজ্ঞানী, ছাত্র ও অন্যান্যদের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত তাঁর এক ঘন্টা ব্যাপী বক্তৃতায় প্রফেসর ইউনূস শ্রোতাদের কাছে বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে ভারতে সামাজিক ব্যবসার সর্বশেষ অগ্রগতি তুলে করেন। সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এই নন-ডিভিডেন্ট ব্যবসার সুক্ষতর দিকগুলো তিনি বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন। ভারতের প্রতিভাবান তরুণ বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের দ্বারা পূর্ণ অডিটোরিয়াম কক্ষে প্রফেসর ইউনূস তাঁদের চাকরী না খুঁজে বরং উদ্যোক্তা হবার আহ্বান জানান এবং পৃথিবী থেকে দারিদ্র, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃস্বরণ চিরতরে বিলুপ্ত করতে--অর্থাৎ তাঁর “তিন শূন্য”র রূপকল্প বাস্তবায়িত করতে সামাজিক ব্যবসায়ে নতুন নতুন ধারণা উদ্ভাবন করতে তাঁদের চ্যালেঞ্জ জানান।
প্রফেসর ইউনূস গুটিকয়েক ব্যক্তির হাতে পৃথিবীর সম্পদের প্রচন্ড কেন্দ্রীকরণের প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, কেবল লক্ষ লক্ষ তরুণ উদ্যোক্তাই পারে সম্পদের ক্রমাগত কেন্দ্রীকরণের এই ভয়ংকর প্রক্রিয়াটিকে ঘুরিয়ে দিতে। তাঁর বক্তৃতা শেষ হবার পর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব, যেখানে অসংখ্য শ্রোতা বিশেষ করে তরুণ বিজ্ঞানীরা তাঁকে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকেন। তাঁর উত্তরে একটি বিষয় বিশেষ করে উঠে আসে আর তা হলো, বর্তমান প্রযুক্তি গবেষণাগুলো মূলত মুনাফা অনুসন্ধানী ব্যবসাগুলোর চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে পরিচালিত। নতুন প্রজন্মের তরুণ প্রযুক্তিবিদরা যদি সুনির্দিষ্টভাবে সামাজিক সমস্যাগুলোর সমাধানে মনোনিবেশ করে, তাহলে দারিদ্র ও বেকারত্ব এবং ক্ষুদ্র উদ্যোগের সাফল্যের সমস্যা যা এখনো অনতিক্রম্য বলে মনে হচ্ছে--পুরোপুরি দূর করা যাবে। সেশনের শেষে শ্রোতারা দাঁড়িয়ে তুমুল করতালির মাধ্যমে প্রফেসর ইউনূসকে অভিনন্দন জানান।
১০৪তম ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের প্রধান সভাপতি প্রফেসর নারাইন রাও এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং প্রশ্নোত্তর পর্বটি সঞ্চালন করেন।
Source: Yunus Centre
Updated Date: 9th March, 2017