ড. ইউনূসের সঙ্গে ইস্ট ডেল্টার শিক্ষার্থীদের সৌজন্য সাক্ষাৎ

চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির শিার্থীরা সম্প্রতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় সোস্যাল বিজনেসে নিত্য নতুন আইডিয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে মেলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, এখনকার তরুণ-তরুণীরা চাইলে আকাশ ছুঁতে পারে। তাদের রয়েছে বিশ্বকে জয় করার দুরন্ত সাহস। আছে আত্মবিশ্বাস আর দৃঢ় মনোবল। আমি চাই এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা সোস্যাল বিজনেসে চমক লাগিয়ে দিক দেশে ও বাইরের সব মানুষের কাছে।
সম্প্রতি ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সোস্যাল বিজনেস ইয়ুথ সামিট ২০১৬ অনুষ্ঠান শেষে ড. ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ইডিইউর শিক ও শিার্থীদের একটি দল। এই সময় তিনি গত পাঁচ বছর ধরে সোস্যাল বিজনেসে এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের ধারাবাহিক সাফল্যের প্রশংসা করেন।
ঢাকার ইউনূস সেন্টারের পৃষ্ঠপোষকতায় সোস্যাল বিজনেস ইয়ূথ অ্যালায়েন্স গ্লোবাল নামের একটি সংগঠন এই কনফারেন্সের আয়োজন করে। এতে বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সোস্যাল বিজনেস নিয়ে কাজ করা অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা অংশ নেন।
সৌজন্য সাাতে ড. ইউনূস আরো বলেন, কেবল চট্টগ্রাম নয়, আমি চাই পুরো বাংলাদেশ থেকে ইডিইউর মেধাবীরা সোস্যাল বিজনেসের আলো ছড়িয়ে দিক সবার কাছে। তাদের পরিকল্পনা আর আইডিয়ার মাধ্যমে অবাক হয়ে যাক সারা দুনিয়া। আমি বিশ্বাস করি প্রবীণদের পাশাপাশি তরুণদের অংশগ্রহণ আরো জনপ্রিয় করে তুলবে এই ধারণাকে।
অনুষ্ঠানে ইডিইউ প্রতিনিধিদলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাইরেক্টর শাফায়েত চৌধুরী, সোস্যাল বিজনেস কাবের সাবেক উপদেষ্টা শারুল ইসলাম, আইটি শাখার সিনিয়র কর্মকর্তা মোফাজ্জল উদ্দিন, ২০১৩ সালের সোস্যাল বিজনেস চ্যাম্পিয়ন তানজিদা আফরীন, ইডিইউর সোস্যাল বিজনেস কাব কো-অর্ডিনেটর সামিনা আরেফীন প্রমুখ।
ইডিইউ কর্তৃপ জানায়, সোস্যাল বিজনেস কমপিটিশনে বরাবরই চট্টগ্রাম থেকে এই শিাপ্রতিষ্ঠানের মেধাবীরা মুন্সিয়ানার ছাপ রেখে আসছে। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিভাবে ইউনূস সেন্টার আয়োজিত প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে এখানকার শিার্থীরা। ২০১২ ও ২০১৫ সালেও দেশের ৪০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়কে পেছনে ফেলে রানার আপ হয় চট্টগ্রামের এই ইউনিভার্সিটি।
ড. ইউনূসের মুখে প্রশংসা শুনে গর্বিত ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান। তিনি বলেন, একজন নোবেল বিজয়ীর মুখে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা পেয়ে এই শিাপ্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েরা ভীষণ আনন্দিত। কেবল পুরস্কার অর্জনের জন্য নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সোস্যাল বিজনেসের ধারণাকে মেলে ধরতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।
শিার জ্ঞান বিতরণের পাশাপাশি এই ধরনের কার্যক্রমে তার প্রতিষ্ঠান আগামীতে আরো সক্রিয় থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

 

Source Link: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/147963

Source: The Daily Nayadiganta

Updated Date: 9th March, 2017

Related Publications

Yunus Social Business Week launched in China...

Published Date: 15th October, 2015

Grameen China to set up branch in Shenzhen ...

Published Date: 16th October, 2015